Notice Board
Welcome to our Big Online Community.
পোষ্ট করে টাকা আয় করুন
প্রতি 1 টি পোষ্ট করলেই পাবেন 10 টাকা
Posts

ভাইভা বোর্ডে যে কাজগুলো করতে ভুলবেন না

চাকরিটা আপনার জন্য খুবই জরুরি। শখের বসেও আপনি বসতে পারেন ইন্টারভিউ বোর্ডে। যেভাবেই প্রশ্নকর্তার মুখোমুখি হোন, আপনার মনোভাব রাখুন ইতিবাচক। বসার আদবকেতা এবং চোহারার ঢঙে বুঝিয়ে দিন, তার যে কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে আপনি প্রস্তুত। সিভিতে যেসব তথ্য দিয়েছেন সেই তথ্য অনুযায়ী কথা বলুন। মনে রাখবেন, আপনাকে চাকরি দেওয়ার জন্যই তারা ডেকেছেন। 


তাই তাদের সহযোগিতাও থাকবে আপনার জন্য। তাই প্রশ্নকর্তাকে শত্রু না ভেবে বন্ধু মনে করেই হেসে-খেলে রাইটওয়েতে উত্তর দিতে প্রস্তুত হন। আর পোশাক-পরিচ্ছদের কথাটা বোর্ডে বসার আগে অবশ্যই মাথায় রাখবেন। অনেক দামি পোশাক পরতে হবে না। আপনার ফরমাল ড্রেস থাকলেই হয়। শুধু তা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হলেই চলে। তাছাড়া যে কোম্পানি এবং যেই পদের জন্য লড়ছেন সেই কোম্পানি এবং পদ সম্পর্কে ভালো একটা ধারণা নিয়েই বসুন ইন্টারভিউ বোর্ডে। সব ঠিকঠাক করে এবার শুরু করুন প্রশ্ন উত্তর_

নিয়ম মেনে শুরু : ভাইভা বোর্ডে ডুকেই শুভ সকাল বলতে পারেন। প্রশ্নকর্তার মুখের দিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন তিনি কী চাচ্ছেন আপনার কাছে। সুতরাং মনোভাব ভালো হলে তার সঙ্গে হাত মিলিয়েই নির্দিষ্ট আসনে বসুন। প্রশ্নকর্তা বিখ্যাত কেউ হলে বলতেই পারেন যে, আপনার সঙ্গে পরিচিত হয়ে খুবই ভালো লাগছে!

আচার-আচরণ : প্রশ্নকর্তা সাধারণত আপনার মনোভাব দেখেই বুঝে নেবেন যে, চাকরির জন্য আপনি কতটা প্রস্তুত। তাছাড়া সুন্দর মনোভাব এবং বন্ধুসুলভ আচরণই বুঝিয়ে দেবে যে কোম্পানি সম্পর্কে আপনি শুরুতেই ইতিবাচক।

আপনার আগ্রহ : প্রশ্নকর্তাকে পারলে নিজেই কোম্পানি সম্পর্কে ইতিবাচক কিছু প্রশ্ন করে সাক্ষৎকারের ব্যাপারে আপনার আগ্রহ দেখান।

ব্যক্তিগত তথ্য : নিজের ব্যক্তিগত তথ্য যা সিভিতে উল্লেখ নেই এমন কিছুও জানাতে পারেন প্রশ্নকর্তাদের। এসব ব্যক্তিগত তথ্য পেয়ে প্রশ্নকর্তার ধারণা পাল্টে যাবে। আপনার সম্পর্কে মনোভাব হবে আরও ইতিবাচক।

নিয়ম মেনে বসা : বাঁকা-তেড়া না হয়ে সোজাই বসুন। তারপর যে প্রশ্ন করবেন তার দিকে তাকিয়েই পূর্ণ আস্থা নিয়ে তার উত্তর দিয়ে যান।

চোখের নিয়ন্ত্রণ : ভাইভা বোর্ডে আই-কন্ট্রাক্ট কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বারবার চোখ বন্ধ না করে বিশ্বাস এবং আস্থাভরা চোখে প্রশ্নকর্তার দিকে তাকিয়ে কথা বলুন।

আগ্রহের দাম : চাকরিটার প্রতি আপনি কতটা আগ্রহী তা আপনার আচরণ এবং কথায় বুঝিয়ে দিন।

মনোযোগের গুরুত্ব : বোর্ডের একজনের দৃষ্টি নয়, সবার মনোযোগের কথা মাথায় রাখুন। যখন প্রশ্নের উত্তর দেবেন, তখন সবার দৃষ্টি ফেরাবেন এবং সবাইকে মনোযোগী করবেন আপনার প্রতি।

বোঝার ক্ষমতা : প্রশ্ন বোঝা এবং তার যথাযথ উত্তরের মাধ্যমেই বুঝিয়ে দিন আপনি পারেন এবং ভালোভাবেই ধরতে পেরেছেন প্রশ্নকর্তার চাওয়া।

কোম্পানির রীতিনীতি : আপনি নিজেকে কোম্পানির একজন মনে করে প্রসঙ্গ টেনে জিজ্ঞেস করে নিতে পারেন কোম্পানির রীতিনীতি সম্পর্কিত বিষয় আশয়। এতে আপনি নিজের অবস্থান সম্পর্কে তখনই একটা ধারণা পেয়ে যাবেন। আসলে তারা আপনার প্রতি কতটা সন্তুষ্ট এবং আপনাকে নিয়ে তাদের কী মনোভাব।

ধন্যবাদ দিন প্রশ্নকর্তাদের : যাদের মুখোমুখি ছিলেন এতক্ষণ প্রশ্ন শেষে তাদের ধন্যবাদ জানাতে ভুললে চলবে না। ধন্যবাদের পাশাপাশি তাদের আন্তরিকতার জন্য কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করুন।

অনুমতির গুণ : আপনার কথোপকথন শেষ হলেও প্রশ্নকর্তার অনুমতি ছাড়া রুম থেকে বের হবেন না। এ ছাড়া ভাইভা দিয়ে আসার পর তাদের কাছ থেকে কোনো ফোন অথবা মেইল পাওয়ার আগ পর্যন্ত আপনি কোনোভাবেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন না। এটি কিন্তু আপনার দুর্বলতা বলেই বিবেচিত হবে।

Share/Bookmark