হুয়াওয়ের নতুন ফ্লাগশিপ স্মার্টফোন পি-৯ দেশের বাজারে বিক্রি শুরু হয়েছে। উন্নত কনফিগারেশনের ডিভাইসটি নিয়ে অনেকের মাঝে বেশ আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
হাইএন্ডের ফোন যাদের প্রথম পছন্দ তারা এটি নিয়ে কথা বলছেন। উন্নত কনফিগারেশনের এ ডিভাইসের বাড়তি চমক ডুয়েল লেন্সের ক্যামেরা। দক্ষিণ কোরিয়ান কোম্পানিটি এ ফোন নিয়ে অপর দুই মার্কেট লিডার অ্যাপল ও স্যামসাংয়ের সঙ্গে পাল্লা দিতে চায়।
একনজরে হুয়াওয়ে পি৯
১০৮০*১৯২০ পি রেজুলেশনের ৫.২ ইঞ্চি আইপিএস ডিসপ্লে
ফোরজি নেটওয়ার্কের সুবিধা
কাইরিন ৯৫৫ চিপসেট
মালি টি-৮৮০ এমপি-৪ জিপিইউ
৩ গিগাবাইট র্যাম
৩২ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ
১২৮ জিবি পর্যন্ত এসডি কার্ড ব্যবহারের সুবিধা
ডুয়াল লেন্স প্রযুক্তির ১২ এমপি রিয়ার ক্যামেরা ও ৮ এমপি সেলফি ক্যামেরা ৩,০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের নন-রিমুভেবল ব্যাটারি ফিঙ্গার প্রিন্ট সেন্সর
মোড়ক খুললে যা মিলবে
একটি হ্যান্ডসেট
একটি ইয়ারফোন
একটি চার্জিং এডাপটর
একটি ইউএসবি ডেটা ক্যাবল
ইউজার ম্যানুয়াল ও
ওয়ারেন্টি কার্ড
নজরকাড়া ডিজাইন
মাত্র ৬.৯৫ মিলিমিটার পুরত্বের এ হ্যান্ডসেট ডিজাইনের দিক দিয়ে বেশ চমৎকার। ফ্রন্ট প্যানেলের উপরের দিকে রয়েছে স্পিকার, ফ্রন্ট ফেসিং ক্যামেরা, প্রক্সিমিটি সেন্সর ও লাইট সেন্সর।
একদম নিচের দিকে আছে চার্জিং পোর্ট ও লাউড স্পিকার। লাউড স্পিকার নিচে থাকার ফলে ডিভাসটিকে টেবিল বা অন্য কিছুর উপর রাখলেও সাউন্ডে ব্যাঘাত ঘটে না।
হাইএন্ডের ফোন যাদের প্রথম পছন্দ তারা এটি নিয়ে কথা বলছেন। উন্নত কনফিগারেশনের এ ডিভাইসের বাড়তি চমক ডুয়েল লেন্সের ক্যামেরা। দক্ষিণ কোরিয়ান কোম্পানিটি এ ফোন নিয়ে অপর দুই মার্কেট লিডার অ্যাপল ও স্যামসাংয়ের সঙ্গে পাল্লা দিতে চায়।
একনজরে হুয়াওয়ে পি৯
১০৮০*১৯২০ পি রেজুলেশনের ৫.২ ইঞ্চি আইপিএস ডিসপ্লে
ফোরজি নেটওয়ার্কের সুবিধা
কাইরিন ৯৫৫ চিপসেট
মালি টি-৮৮০ এমপি-৪ জিপিইউ
৩ গিগাবাইট র্যাম
৩২ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ
১২৮ জিবি পর্যন্ত এসডি কার্ড ব্যবহারের সুবিধা
ডুয়াল লেন্স প্রযুক্তির ১২ এমপি রিয়ার ক্যামেরা ও ৮ এমপি সেলফি ক্যামেরা ৩,০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের নন-রিমুভেবল ব্যাটারি ফিঙ্গার প্রিন্ট সেন্সর
মোড়ক খুললে যা মিলবে
একটি হ্যান্ডসেট
একটি ইয়ারফোন
একটি চার্জিং এডাপটর
একটি ইউএসবি ডেটা ক্যাবল
ইউজার ম্যানুয়াল ও
ওয়ারেন্টি কার্ড
নজরকাড়া ডিজাইন
মাত্র ৬.৯৫ মিলিমিটার পুরত্বের এ হ্যান্ডসেট ডিজাইনের দিক দিয়ে বেশ চমৎকার। ফ্রন্ট প্যানেলের উপরের দিকে রয়েছে স্পিকার, ফ্রন্ট ফেসিং ক্যামেরা, প্রক্সিমিটি সেন্সর ও লাইট সেন্সর।
একদম নিচের দিকে আছে চার্জিং পোর্ট ও লাউড স্পিকার। লাউড স্পিকার নিচে থাকার ফলে ডিভাসটিকে টেবিল বা অন্য কিছুর উপর রাখলেও সাউন্ডে ব্যাঘাত ঘটে না।
পাওয়ার/লক বাটন ও ভলিউম রকারস রয়েছে ডান দিকে। একেবারে পিছনে রয়েছে ডুয়াল লেন্সের রিয়ার ক্যামেরা ও ফিংগারপ্রিন্ট রিডার সেন্সর।
নেভিগেশনের জন্য হার্ডওয়্যার বাটনের পরিবর্তে থাকছে অন-স্ক্রিন সফট নেভিগেশন বাটন।
ডিসপ্লে ও টাচে স্বস্তি
ফোনটিতে ৫.২ ইঞ্চির ১০৮০ পিক্সেল ফুল এইচডি আইপিএস ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে, যার পিপিআই ৪৪১। এ কাণে ভিডিও প্লেব্যাক কিংবা হাই-গ্রাফিক্স গেইমিং এক্সপেরিয়েন্স এক কথায় অসাধারন।
ত্রুটিপূর্ণ ইউজার ইন্টারফেস
হুয়াওয়ের নিজস্ব কাস্টমাইজড অপারেটিং সিস্টেম ইএম ইউআইয়ে চলবে এ ফোন। এটি মূলত অ্যান্ড্রয়েড ৬.০ মার্শম্যালোর একটি কাস্টমাইজড ভার্সন, যা খানিকটা ধীরগতির। স্টক অ্যান্ড্রোয়েডপ্রেমীদের কাছে এটি বেশ ঝামেলার মনে হতে পারে।
ফিংগারপ্রিন্ট সেন্সর
এতে যে ফিংগারপ্রিন্ট রিডার সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে সেটির পারফরমেন্স এক কথায় অসাধারন।
আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করে ডিভাইস লক-আনলকের পাশাপাশি ছবি তোলা, ইনকামিং কল রিসিভ ইত্যাদি কাজেও সেন্সরটিকে ব্যবহার করা যাবে ।
চমৎকার ক্যামেরা
স্মার্টফোনটির প্রধান আকর্ষন ডুয়াল লেন্স বিশিষ্ট ক্যামেরা । জার্মান অপটিক্স কোম্পানি লাইকার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে হুয়াওয়ে ১২ মেগাপিক্সেল রেজুলেশনের ডুয়াল লেন্সের ক্যামেরা ব্যবহার করেছে।
এ প্রযুক্তি স্মার্টফোনের ফটোগ্রাফিতে নতুন এক মাত্রা যোগ করেছে। পাশাপাশি সেলফি তোলার জন্য থাকছে ৮ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ফেসিং ক্যামেরা। ছবির মান নিয়ে দুঃশ্চিন্তার কোন কারন নেই।
পারফরমেন্স
হুয়াওয়ের নিজস্ব চিপসেট কাইরিন ৯৫৫ ব্যবহার করা হয়েছে এতে। অক্টাকোরের শক্তিশালী এ প্রসেসরের পাশাপাশি গ্রাফিক্স প্রসেসিংয়ের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে মালি টি-৮৮০ এমপি-৪ জিপিইউ।
পুরো সিস্টেমকে চালনার জন্য রয়েছে ৩ গিগাবাইট র্যাম। সবমিলিয়ে ডিভাইসটি চমৎকার পারফরমেন্স দিতে সক্ষম। তবে মেটাল বডির কারণে দীর্ঘক্ষণ চালালে কিছুটা গরম হয়ে উঠতে পারে হ্যান্ডসেটটি।
ডিভাইসটিতে ডাটা স্টোরেজ হিসেবে থাকছে ৩২ গিগাবাইটের ইন্টারনাল মেমরি, যা মাইক্রো এসডি কার্ড ব্যবহার করে ১২৮জিবি পর্যন্ত বাড়িয়ে নেয়া যাবে ।
মাল্টিমিডিয়া
ফোনটির মিউজিক এক্সপেরিয়েন্স বেশ ভাল। কোনো ধরনের ল্যাগ ছাড়াই ফুল এইচডি ভিডিও প্লেব্যাক হয়।
কানেক্টিভিটি
ফোরজি সুবিধাযুক্ত হাইব্রিড ডুয়াল সিমের মধ্যে একই সঙ্গে দুটি সিম কিংবা একটি সিম ও একটি মাইক্রো এসডি কার্ড ব্যবহার করা যাবে। এতে ইউএসবি টাইপ-সি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে ।
এ ছাড়া ওয়াই-ফাই, ওয়াই-ফাই ডিরেক্ট, জিপিএস, এফএম রেডিও প্রভৃতি কানেক্টিভিটি সুবিধা রয়েছে।
ব্যাটারি
৩,০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের নন-রিমুভএবল ব্যাটারির এ ফোনে ইএম-ইউআই অনেকটা ব্যাটারি সাশ্রয়ী।
একবার ফুল চার্জে টানা এক বা দু’দিন চলবে। তবে ফোনটিতে নেই ফার্স্ট চার্জিং সুবিধা। এটি হতে পারে অনেকের হতাশার কারন।
মূল্য
এক বছরের বিক্রয়োত্তর সুবিধাসহ দেশের বাজারে ৪৭,৯৯০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া ২৪ মাসের ইএমআই সুবিধাও মিলবে।
এক নজরে ভালো
অসাধারন ডিজাইন
ভাল মানের ডিসপ্লে
ডুয়াল লেন্স ক্যামেরা
ওজনে হালকা
এক নজরে খারাপ
৪কে ভিডিও রেকর্ডিং সুবিধা নেই
এনএফসি সুবিধা নেই
অপেক্ষাকৃত স্লো ইউজার ইন্টারফেস
একই সঙ্গে ডুয়াল সিম ও মেমরি কার্ড ব্যবহার করা যায় না