মেয়ে বা ছেলের বিয়ে দিচ্ছেন? পাত্র বা পাত্রীও দেখা কমপ্লিট? পাকা কথাও বলে ফেলেছেন? কিন্তু কয়েকটি মেডিক্যাল টেস্ট করিয়েছেন তো? ভাল করে ছেলে বা মেয়ের খোঁজ খবর নিয়েছেন তো? ঠিকুজি-কুষ্টি তো অনেকই করলেন। এখন যুগ পাল্টেছে। তাই এগুলি আগে করুন।
বিয়ের আগে নানা মেডিক্যাল টেস্টের পরামর্শ তো অনেকেই দিয়ে থাকেন। কিন্তু পাত্র বা পাত্রীর কী কী মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো উচিত, সে সম্পর্কে অনেকেই ওয়াকিবহাল নন। আবার এ প্রজন্মের অনেকেই এ বিষয়ে সচেতন। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে এগোতে তাঁদেরও অনীহা। কিছুটা লজ্জা। কিছুটা ভয়ও বটে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগে ভয় বা লজ্জা না পেলে পরবর্তী জীবনটা অনেকটাই সুখকর হয়।
এবার এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক বিয়ের আগে কী কী মেডিক্যাল টেস্ট করানো উচিত-
* রক্তের গ্রুপ : পাত্র বা পাত্রীর ব্লাড গ্রুপ জানা একান্ত জরুরি। কারণ নেগেটিভ ও পজ়িটিভ ব্লাড গ্রুপের ছেলে-মেয়ের বিয়ে হলে পরবর্তী সময়ে সন্তান ধারণে বিপত্তি দেখা যায়। অনেক সময় গর্ভেই সন্তানের মৃত্যু হয়। কিংবা জন্মের পর সন্তান জন্ডিসে আক্রান্ত হতে পারে। মস্তিষ্কেরও ক্ষতি হতে পারে।
* যৌনসংক্রমণ সংক্রান্ত পরীক্ষা : পাত্র বা পাত্রীর শরীরে কোনও যৌন সংক্রমণ আছে কি না সেটা জেনে নেওয়া জরুরি। একমাত্র মেডিক্যাল টেস্টই বলে দিতে পারে পাত্র বা পাত্রীর ঐওঠ, গনোরিয়া, সিফিলিসের মতো যৌনরোগ আছে কিনা।
* শুক্রাণু পরীক্ষা : অনেক সময় সন্তান ধারণে অসুবিধার মুখে পড়তে হয় স্বামী স্ত্রীকে। এর কারণ হতে পারে স্বামী বা স্ত্রীয়ের অক্ষমতা। পুরুষের যদি কোন অক্ষমতা থেকে থাকে, তা বিয়ের আগে শুক্রাণু পরীক্ষা করালেই ধরা পড়তে পারে।